- রফিকুল ইসলাম সাগর
কে এল টাওয়ার। কুয়ালালামপুরের সংক্ষিপ্ত নাম কে এল। কুয়ালালামপুরের মসজিদ ইন্ডিয়া, কোতারায়া ও বুকিট বিনতাং এলাকার কাছেই কে এল টাওয়ারের অবস্থান। ১৯৯১ সালে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। ১ মার্চ ১৯৯৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষে এই টাওয়ারটি সবার জন্য উš§ুক্ত করা হয়। টাওয়ারটি নির্মাণ হয়েছে মালয়েশিয়া সরকারের অর্থায়নে। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ। কে এল টাওয়ার নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন রিঙ্গিত। মিনারা কুয়ালালামপুর এসডিএনবিএইচডি নামক প্রতিষ্ঠানকে কে এল টাওয়ার নির্মাণ কাজ দেয়া হয়েছিল।
কে এল টাওয়ারের চূড়ায় আছে খাবার হোটেল। খাবার হোটেলের যেই আসনেই আপনি বসেন না কেন দেখতে পাবেন পুরো কুয়ালালামপুর শহর। খাবার হোটেলগুলো ঘূর্ণায়মান। শুধু তাই নয়, বিয়ের অনুষ্ঠানও হয় নিয়মিত। উচ্চতার দিক থেকে কে এল টাওয়ার প্রায় পেট্রোনাস টাওয়ারের কাছাকাছি। বিশ্বে কে এল টাওয়ারের অবস্থান ছয় নম্বর অবস্থানে। কে এল টাওয়ারের চূড়ায় উঠতে হয় লিফটে করে। চূড়ায় যেতে খরচ হবে ৩০ রিঙ্গিত।
বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উš§ুক্ত। কে এল টাওয়ারকে মালয়েশিয়ার টেলিযোগাযোগ টাওয়ারও বলা হয়। নিচ থেকে মাথা উঁচু করে কে এল টাওয়ারের চূড়ায় তাকালে মনে হয় এত উপরে গেলে ভয় লাগবে। কিন্তু চূড়ায় যাওয়ার পরেই আপনি বুঝতে পারবেন কে এল টাওয়ার ভ্রমণ কতটা আনন্দদায়ক। প্রতিটা মুহূর্ত আপনার ভালো কাটবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অসংখ্য পর্যটককে প্রতিদিন কে এল টাওয়ার ভ্রমণ করতে দেখা যায়।

No comments:
Post a Comment