রফিকুল ইসলাম সাগর
বর্তমানে আমাদের দেশে যেভাবে মাদকের ছড়াছড়ি কয়েক বছর আগেও এতটা ছিল না। অল্প ক’জন গাঁজা-হেরোইন, ফেনসিডিল সেবন করত। তাদের সমাজের সবাই খারাপ চোখে দেখত। আগে যারা মাদক সেবন করত সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে সেবন করত। কিন্তু এখন সবাই প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। মাদককে বর্তমান যুবসমাজ ফ্যাশন হিসেবে দেখছে। অভিভাবকদের এ বিষয়ে তেমন মাথাব্যথা যেন নেই। মাদক ব্যবসায়ী বেড়েছে বহুগুণে। বলা যায়, ঘরে ঘরে মাদক ব্যবসায়ী। যে কেউই রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়। আগে মহল্লার কিছু সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসা করত। কিন্তু এখন ভালো ভালো শিক্ষিত ছেলে এ ব্যবসা করছে। তারা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক ব্যবসায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং সহপাঠীকেও আসক্ত হতে বাধ্য করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে নতুন মাদক ইয়াবার ব্যাপক ছড়াছড়ি। বিশেষ করে যারা হেরোইন ও ফেনসিডিল সেবন করত তারা ইয়াবা সেবনের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। এ ছাড়া তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েরা তো আছেই। অন্যান্য নেশার চেয়ে ইয়াবা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। ইয়াবা সেবনের ফলে মেয়েদের বাচ্চা প্রসবের সময় সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া মানসিক, শারীরিক সমস্যা তো আছেই-যে সমস্যা ছেলেমেয়ে উভয়ের দেখা দেয় তাত্ক্ষণিকভাবেই। সহজেই বহন করা যায় বলে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও অনেক বেশি। যারা অন্যান্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা সবাই ইয়াবা ব্যবসায় নেমেছে।
১৯ মে পৌনে তিন লাখ ইয়াবা আটক হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইয়াবা গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত আবদুর রশিদ খুলুসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ চালানটি নাকি বাংলাদেশে আটককৃত এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান। এর আগেও আমাদের দেশে ছোট ছোট ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে। তার সঙ্গে ধরা পড়েছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। অল্প ক’দিনে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। যে কারণে বন্ধ করা যায় না মাদকের চালান, বাংলাদেশে প্রবেশ ও মাদক ব্যবসা। এসব মাদকের চালান বিদেশ থেকে আমাদের দেশে আনার মূল নায়ক যারা তারা আমাদের দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের ছত্রছায়ায় মাদকের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সারা দেশে মাদক ব্যবসা পরিচালিত হয়। ছোট ছোট ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় প্রভাবশালীরা। তাদের আদেশেই ধরা পড়া ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ীর জামিন হয়। ধরা পড়লে মিডিয়াতে আসে। কিন্তু ক’দিন পর যখন আসামি ছাড়া পায় সেই খবর মিডিয়াতে আসে না। মাদক ব্যবসা বন্ধে সর্বপ্রথম সীমান্তপথে কঠিন নজরদারি বসাতে হবে। কেননা সীমান্ত দিয়েই মাদক প্রবেশের সূচনা। সমাজের প্রভাবশালী যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের কঠিন নজরদারি করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হতে হবে। যেসব মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাদের নামে জামিন অযোগ্য মামলা করতে হবে, যেন তারা জামিনে ছাড়া না পেতে পারে। সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সহযোগিতায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে হবে। সেই সমাজে নতুন প্রজন্ম তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।
বর্তমানে আমাদের দেশে যেভাবে মাদকের ছড়াছড়ি কয়েক বছর আগেও এতটা ছিল না। অল্প ক’জন গাঁজা-হেরোইন, ফেনসিডিল সেবন করত। তাদের সমাজের সবাই খারাপ চোখে দেখত। আগে যারা মাদক সেবন করত সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে সেবন করত। কিন্তু এখন সবাই প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। মাদককে বর্তমান যুবসমাজ ফ্যাশন হিসেবে দেখছে। অভিভাবকদের এ বিষয়ে তেমন মাথাব্যথা যেন নেই। মাদক ব্যবসায়ী বেড়েছে বহুগুণে। বলা যায়, ঘরে ঘরে মাদক ব্যবসায়ী। যে কেউই রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়। আগে মহল্লার কিছু সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসা করত। কিন্তু এখন ভালো ভালো শিক্ষিত ছেলে এ ব্যবসা করছে। তারা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক ব্যবসায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং সহপাঠীকেও আসক্ত হতে বাধ্য করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে নতুন মাদক ইয়াবার ব্যাপক ছড়াছড়ি। বিশেষ করে যারা হেরোইন ও ফেনসিডিল সেবন করত তারা ইয়াবা সেবনের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। এ ছাড়া তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েরা তো আছেই। অন্যান্য নেশার চেয়ে ইয়াবা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। ইয়াবা সেবনের ফলে মেয়েদের বাচ্চা প্রসবের সময় সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া মানসিক, শারীরিক সমস্যা তো আছেই-যে সমস্যা ছেলেমেয়ে উভয়ের দেখা দেয় তাত্ক্ষণিকভাবেই। সহজেই বহন করা যায় বলে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও অনেক বেশি। যারা অন্যান্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা সবাই ইয়াবা ব্যবসায় নেমেছে।
১৯ মে পৌনে তিন লাখ ইয়াবা আটক হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইয়াবা গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত আবদুর রশিদ খুলুসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ চালানটি নাকি বাংলাদেশে আটককৃত এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান। এর আগেও আমাদের দেশে ছোট ছোট ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে। তার সঙ্গে ধরা পড়েছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। অল্প ক’দিনে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। যে কারণে বন্ধ করা যায় না মাদকের চালান, বাংলাদেশে প্রবেশ ও মাদক ব্যবসা। এসব মাদকের চালান বিদেশ থেকে আমাদের দেশে আনার মূল নায়ক যারা তারা আমাদের দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের ছত্রছায়ায় মাদকের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সারা দেশে মাদক ব্যবসা পরিচালিত হয়। ছোট ছোট ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় প্রভাবশালীরা। তাদের আদেশেই ধরা পড়া ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ীর জামিন হয়। ধরা পড়লে মিডিয়াতে আসে। কিন্তু ক’দিন পর যখন আসামি ছাড়া পায় সেই খবর মিডিয়াতে আসে না। মাদক ব্যবসা বন্ধে সর্বপ্রথম সীমান্তপথে কঠিন নজরদারি বসাতে হবে। কেননা সীমান্ত দিয়েই মাদক প্রবেশের সূচনা। সমাজের প্রভাবশালী যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের কঠিন নজরদারি করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হতে হবে। যেসব মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাদের নামে জামিন অযোগ্য মামলা করতে হবে, যেন তারা জামিনে ছাড়া না পেতে পারে। সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সহযোগিতায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে হবে। সেই সমাজে নতুন প্রজন্ম তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।

No comments:
Post a Comment