রফিকুল ইসলাম সাগর
ছোট ভাইয়ের দোকানের ভেতর বসে ছিল রহিম (ছদ্মনাম)। এলাকার ছিঁচকে রংবাজ বাবুল (ছদ্মনাম) হঠাৎ এসে বলল রহিম ভাই আপনার সঙ্গে একটু কথা আছে দোকানের বাইরে বের হন। দুজন একই এলাকার বাসিন্দা তাই পূর্ব পরিচিত। রহিমকে যেই দোকান থেকে ডেকে বাইরে আসতে বলা হয়েছিল সেই দোকানের বাইরে একটি সাদা মাইক্রোবাস দাঁড় করানো হয়েছিল। মাইক্রোবাস থেকেই বাবুলকে নামতে দেখেছিল রহিম। মাইক্রোবাসের ভেতরে আরও চার-পাঁচ জন ছিল। রহিম ধারণা করেছিল মাইক্রোবাসের ভেতরে যারা ছিল তারা গোয়েন্দা পুলিশ। মহল্লার সবাই জানে বাবুল বর্তমানে পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করে। অনেকেই তাকে দেখেছে নিয়মিত পুলিশের গাড়িতে করে ঘুরতে।
রহিমকে ডেকে নিয়ে আসার পর পাশের একটি নিরিবিলি গলিতে নিয়ে যায় বাবুল, তার সঙ্গে আরেকজন ছিল যে নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। বাবুল রহিমকে বলল আমরা তথ্য পেয়েছি আপনার সঙ্গে মাদকদ্রব্য আছে আপনাকে তল্লাশি করা হবে। তল্লাশির নামে রহিমের পকেটের ভেতরে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় বাবুল। রহিমের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিজের পকেটের ভেতর ঢুকিয়ে বাবুল তার সঙ্গে থাকা পুলিশ পরিচয়দানকারীকে বলল_ স্যার আপনি কথা বলেন আমি যাই, এই কথা বলে বাবুল পুনরায় সেই সাদা মাইক্রোবাসের ভেতর উঠে বসে। রহিমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে সেই লোক যখন চলে যাবে তখন রহিম বলল স্যার আমার মোবাইল? লোকটি বলল 'তোমার মোবাইল নিয়ে গিয়েছে আচ্ছা তুমি দাঁড়াও আমি দেখছি'। এ কথা বলে লোকটিও মাইক্রোবাসের ভেতর উঠে বসে। রহিমের মোবাইল ফেরত না দিয়ে গাড়িটি সেই স্থান ত্যাগ করে। রহিম বুঝতে পারে অভিনব কায়দায় তার মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে।
বাবুল পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করে জানতে পেরে রহিম থানায় বাবুলের নামে অভিযোগ করতে যায়। থানায় গিয়ে সে জানতে পারে অনেকের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুলকে ইনফর্মার হিসেবে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন নাকি আর বাবুল পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে না। থানার একজন পুলিশ রহিমকে বলল আপনি বাবুলের নামে একটা জিডি করেন আমরা এই ব্যাপারটা দেখব। রহিমের সঙ্গে কথা বলার পর সে বলল সে নিশ্চিত না যে সেই সাদা মাইক্রোবাসে যারা ছিল তারা পুলিশ। সে বলল এমন হতে পারে বাবুল পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করছে, এটা ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল। বাবুলের নামে আরও অনেক অভিযোগ আছে যে সে পরিচিতদের ডেকে নিয়ে ঠিক রহিমের মতো সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। বাবুলদের মতো যারা তাদের কখনো বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাবুলের মায়ের বক্তব্য অনেকদিন সে বাড়িতে আসে না কোথায় আছে জানি না। কিন্তু মহল্লার অনেকেই বললেন বাবুল নিজ বাড়িতেই থাকে। তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে তার মা টাকা খরচ করে জামিনে ছাড়িয়ে আনে।
সারাদেশে এমন অনেক বাবুল আছে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। সবাই সাবধানে থাকবেন আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে এমন ঘটনা।
ছোট ভাইয়ের দোকানের ভেতর বসে ছিল রহিম (ছদ্মনাম)। এলাকার ছিঁচকে রংবাজ বাবুল (ছদ্মনাম) হঠাৎ এসে বলল রহিম ভাই আপনার সঙ্গে একটু কথা আছে দোকানের বাইরে বের হন। দুজন একই এলাকার বাসিন্দা তাই পূর্ব পরিচিত। রহিমকে যেই দোকান থেকে ডেকে বাইরে আসতে বলা হয়েছিল সেই দোকানের বাইরে একটি সাদা মাইক্রোবাস দাঁড় করানো হয়েছিল। মাইক্রোবাস থেকেই বাবুলকে নামতে দেখেছিল রহিম। মাইক্রোবাসের ভেতরে আরও চার-পাঁচ জন ছিল। রহিম ধারণা করেছিল মাইক্রোবাসের ভেতরে যারা ছিল তারা গোয়েন্দা পুলিশ। মহল্লার সবাই জানে বাবুল বর্তমানে পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করে। অনেকেই তাকে দেখেছে নিয়মিত পুলিশের গাড়িতে করে ঘুরতে।
রহিমকে ডেকে নিয়ে আসার পর পাশের একটি নিরিবিলি গলিতে নিয়ে যায় বাবুল, তার সঙ্গে আরেকজন ছিল যে নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। বাবুল রহিমকে বলল আমরা তথ্য পেয়েছি আপনার সঙ্গে মাদকদ্রব্য আছে আপনাকে তল্লাশি করা হবে। তল্লাশির নামে রহিমের পকেটের ভেতরে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় বাবুল। রহিমের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিজের পকেটের ভেতর ঢুকিয়ে বাবুল তার সঙ্গে থাকা পুলিশ পরিচয়দানকারীকে বলল_ স্যার আপনি কথা বলেন আমি যাই, এই কথা বলে বাবুল পুনরায় সেই সাদা মাইক্রোবাসের ভেতর উঠে বসে। রহিমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে সেই লোক যখন চলে যাবে তখন রহিম বলল স্যার আমার মোবাইল? লোকটি বলল 'তোমার মোবাইল নিয়ে গিয়েছে আচ্ছা তুমি দাঁড়াও আমি দেখছি'। এ কথা বলে লোকটিও মাইক্রোবাসের ভেতর উঠে বসে। রহিমের মোবাইল ফেরত না দিয়ে গাড়িটি সেই স্থান ত্যাগ করে। রহিম বুঝতে পারে অভিনব কায়দায় তার মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে।
বাবুল পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করে জানতে পেরে রহিম থানায় বাবুলের নামে অভিযোগ করতে যায়। থানায় গিয়ে সে জানতে পারে অনেকের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুলকে ইনফর্মার হিসেবে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন নাকি আর বাবুল পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে না। থানার একজন পুলিশ রহিমকে বলল আপনি বাবুলের নামে একটা জিডি করেন আমরা এই ব্যাপারটা দেখব। রহিমের সঙ্গে কথা বলার পর সে বলল সে নিশ্চিত না যে সেই সাদা মাইক্রোবাসে যারা ছিল তারা পুলিশ। সে বলল এমন হতে পারে বাবুল পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করছে, এটা ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল। বাবুলের নামে আরও অনেক অভিযোগ আছে যে সে পরিচিতদের ডেকে নিয়ে ঠিক রহিমের মতো সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। বাবুলদের মতো যারা তাদের কখনো বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাবুলের মায়ের বক্তব্য অনেকদিন সে বাড়িতে আসে না কোথায় আছে জানি না। কিন্তু মহল্লার অনেকেই বললেন বাবুল নিজ বাড়িতেই থাকে। তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে তার মা টাকা খরচ করে জামিনে ছাড়িয়ে আনে।
সারাদেশে এমন অনেক বাবুল আছে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। সবাই সাবধানে থাকবেন আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে এমন ঘটনা।

No comments:
Post a Comment