রফিকুল ইসলাম সাগর
বিমান বন্দর রেল স্টেশন থেকে রাত ১২ টার ট্রেনে করে সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম পৌছালাম । বাংলাদেশের এক দশমাংশ জায়গা জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম । তিনটি জেলা যথাক্রমে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি নিয়ে এ পার্বত্য চট্টগ্রাম । সকালের নাস্তা সেরেবান্দরবান যাওয়ার বাসে উঠেছিলাম । বাস ভাড়া জন প্রতি ১০০ টাকা । বান্দরবান পৌছানোর পর পর্যটকদের ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম । বান্দরবান তখন রাজপুন্না মেলা চলছিল । বুমাং রাজাকে খাজনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করা হয় । মেলা উপলক্ষে বান্দরবানকে সাজানো হয় নানা রঙ্গে । এছাড়া পাহাড়িদের সাংস্কিতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । বান্দরবাননে আছে স্বর্ণ মন্দির,নীলাঞ্চল,শৈল্যপ্রপাত । বান্দরবানের উপশহর বালাঘাটাস্থ পুল পাড়া নামক স্থানে স্বর্ণ মন্দিরের অবস্থান । এখান থেকে থেকে বান্দরবানের বালাঘাটা উপশহর ও এর আশপাশের সুন্দর নৈস্বর্গিকদৃশ্য দেখা যায় । বান্দরবান জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার । সেখান থেকে নীলগিরি যাওয়ার জন্য ৩৪০০ টাকায় একটি চাদের গাড়ি ভাড়া করেছিলাম । জিপ গাড়িকে বান্দরবানে বলা হয় চাদের গাড়ি । একটি চাদের গাড়িতে ১২ জন যাত্রী যেতে পারে । পাহাড়ি পথ দু'পাশে সারি সারি গাছ । কখনো পাকা রাস্তা ধরে, কখনো মেঠো পথ দিয়ে । গিটার বাজাতে বাজাতে আর গান গাইতে গাইতে পৌছেছিলাম নীলগিরি । বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান । যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসাবে অবহিত করা যায় । যেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে দিনরাত । আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঐ মেঘের দেশে । তবে যারা মেঘ ভালোবাসেন তারা জুন-জুলাইতে অর্থাৎ বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাবেন । কারন মেঘ তখন আপনা হতে এসে আপনাকে ধরা দিয়ে যাবে । নীলগিরি থেকে সাঙ্গু নদীর ঘাট । স্থানীয়রা সাঙ্গু নদীর ঘাটকে শঙ্খ নদীর ঘাট বলেও ডাকে । সাঙ্গু নদীর ঘাট পর্যন্ত যেতে জন প্রতি বাস ভাড়া ৮০ টাকা । সময় লেগেছিল ২ ঘন্টা । সাঙ্গু নদীর ঘাট থেকে একটি টলার ভাড়া করে গিয়েছিলাম রুমা বাজার । টলারে করে যাওয়ার পথে চোখে পড়বে অপূর্ব সুন্দর প্রাকীতিক দৃশ্য । টলারে করে রুমা বাজার যেতে ভাড়া জন প্রতি ৩০ টাকা সময় লাগবে ২ ঘন্টা । রুমা বাজারে গিয়ে সবাই ক্লান্ত । বিশ্রামের জন্য হোটেল ভাড়া করেছিলাম । পর দিন সকালে আবার বেড় হয়ে পরেছিলাম । রুমা বাজার থেকে ২০০০ টাকায় চাদের গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিলাম বগা লেক । বগা লেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সাদু পানির একটি হৃদ ও উচু পাহাড় এর উচ্চতা প্রায় ২৫০০ ফুট । পথে চোখে পড়বে দু'টি ঝর্ণা । এত উচুতে এসে কেউ আর হয়তো হাটতে রাজি হবেন না । কিন্তূ ভুল করবেন এখানেই শেষ করে দিলে । আর পাচ কিলোমিটার হেটে গেলেই কিউ কারাডাং পাহাড় । কিউ কারাডাং পুরোটাই উচু পাহাড় যার উচ্চতা ৩১৭২ ফুট । সেখান থেকে যতদুর চোখ যাবে পাহাড় আর সবুজের সমারোহ ।
২৭ এপ্রিল ২০১২ দৈনিক যুগান্তর যেতে যেতে পথে পাতায় প্রকাশিত
বিমান বন্দর রেল স্টেশন থেকে রাত ১২ টার ট্রেনে করে সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম পৌছালাম । বাংলাদেশের এক দশমাংশ জায়গা জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম । তিনটি জেলা যথাক্রমে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি নিয়ে এ পার্বত্য চট্টগ্রাম । সকালের নাস্তা সেরেবান্দরবান যাওয়ার বাসে উঠেছিলাম । বাস ভাড়া জন প্রতি ১০০ টাকা । বান্দরবান পৌছানোর পর পর্যটকদের ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম । বান্দরবান তখন রাজপুন্না মেলা চলছিল । বুমাং রাজাকে খাজনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করা হয় । মেলা উপলক্ষে বান্দরবানকে সাজানো হয় নানা রঙ্গে । এছাড়া পাহাড়িদের সাংস্কিতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । বান্দরবাননে আছে স্বর্ণ মন্দির,নীলাঞ্চল,শৈল্যপ্রপাত ।
২৭ এপ্রিল ২০১২ দৈনিক যুগান্তর যেতে যেতে পথে পাতায় প্রকাশিত

No comments:
Post a Comment