- রফিকুল ইসলাম সাগর
কুয়ালালামপুরের আম্পাং জায়া, জালান রেশমি, দারুল এহসান গলফ ক্লাবের পাশের সড়কটিতে গেলে দেখা মিলে ছোট-বড় শত শত বানরের। যে জায়গাটি কোনো চিড়িয়াখানা নয়, স্বেচ্ছায় বানরগুলো সেখানে বসবাস করে। বানরগুলো দেখতে খুব পরিষ্কার-পরিছন্ন। মালয়েশিয়াতে প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হয় বলেই বানরগুলো পরিষ্কার-পরিছন্ন। এ জায়গাটিকে বলা যায় বানর পাড়া। একসঙ্গে এত বানর অন্য কোথাও দেখা যায় না। বানর দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করে সেখানে। সবাই বানরের জন্য খাবার কিনে নিয়ে যায়। নিজ হাতে সেই খাবার বানরের হাতে তুলে দেয়। মানুষের সঙ্গে বানরগুলো বন্ধুসুলভ আচরণ করে। বানরগুলো মানুষের পাশ দিয়ে হাঁটছে, আবার কোনোটি মানুষের সঙ্গে বসে থাকে। তাদের মধ্যে হিংস্রতা নেই। কোনো কোনো বানর গাছে ঝুলছে, কোনোটি একটি আরেকটির সঙ্গে মারামারি করে, কোনোটি খাবার খাচ্ছে। একটি বানর আছে যে বানরটি সবচেয়ে বড়। অন্য সব বানর সে বানরকে ভয় পায়। বড় বানরটিকে দেখা যায় অন্য বানরগুলো থেকে খাবার কেড়ে নিতে। তাই বলা যায়, এ বানর পাড়ার রাজা সেই বড় বানরটি। স্থানীয়রা বড় বানরটিকে ওসামা বিন লাদেন নামে ডাকে। কেউ কেউ নিয়মিত সেখানে যায়। কিছু কিছু বানরকে পোষও মানিয়েছে। তারা নিয়মিত বানরগুলোকে খাবার দেয় বলে বানরগুলো তাদের কথা শোনে। দূর থেকে তাদের গাড়ি দেখতে পেলে সব বানর ছুটে যায় সেই গাড়ির দিকে। পছেন্দের মানুষটি গাড়ি থেকে নামলে বানরগুলো খাবারের অপেক্ষায় বসে থাকে।

No comments:
Post a Comment