| রফিকুল ইসলাম সাগর |
আড্ডার এক মুহুর্তে তিন বন্ধু হুট করে সিদ্ধান্ত নিলাম গাজীপুর নুহাশ পল্লীতে যাবো। তখন ছিল দুপুর। আমরা আর দেরী করলাম না, রওনা হয়ে গেলাম গাজীপুর নুহাশ পল্লীর উদ্দেশে। সদ্য প্রয়াত জনপ্রিয় নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর স্মৃতি বিজড়িত নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশ পল্লী গাজীপুর জেলার হোতাপাড়ায় অবস্থিত।
দুপুরের খাবার না খেয়েই রওনা হলাম। ঢাকা বনানী থেকে বাসে উঠলাম। গিয়ে নামলাম হোতাপাড়া বাস টার্মিনালে। বিকেল হয়ে গেছে। সময় খুব কম, সন্ধ্যা হতে খুব বেশি দেরী নেই। নুহাশ পল্লীর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবো কিনা চিন্তায় পড়ে গেলাম। হোতাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে একটি বেবিটেক্সি ভাড়া করলাম। দেরী না করে উঠে বসলাম। চালককে দ্রুত গতিতে বেবিটেক্সি চালানোর নির্দেশ দিলাম। পুরানো দিনের বেবিটেক্সি ঢাকায় এখন আর দেখা যায় না। দ্রুত গতিতে ছুটে চলছি আমরা। কানে বেবিটেক্সির চলন্ত শব্দ আসছে। খুব বেশি শব্দ। যাই হোক আমাদের সময় মতো পৌঁছাতে পারলেই হলো। পথের দু পাশে শালবন। অনেকদিন শালবন দেখিনি খুব ভালোই লাগছে, মুহূর্ত। বাংলাদেশের সব জায়গায় শালবন চোখে পড়ে না। গাজীপুর এলাকায় দেখা যায় বেশি। অনেক আগে বাবার বন্ধুদের সাথে গাজীপুর ন্যাশনাল পার্ক
বনভোজনে আশা হতো। এখন আর যাওয়া হয় না। শালবন আমার খুব ভালো লাগে। নুহাশ পল্লীর কাছা কাছি চলে এসেছি এদিকে সূর্যটাও ডুবে ডুবে ভাব। সূর্যের সাথে যেন প্রতিযোগিতা দিয়ে আমরা ছুটে চলছি। পাখিদের কিচির মিচির। তারা নীড়ে ফিরে আসছে। পথ শূন্য হয়ে যাচ্ছে মানুষ জনও সবাই নীড়ে ফেরায় ব্যস্ত। খুব সুন্দর একটা পরিবেশ।
আমরা নুহাশ পল্লীর গেইটের সামনে গিয়ে নামলাম। আশে পাশে শালবন। শালবনের ভিতর দিয়ে সামনের দিকে একটু হেঁটে গেলাম। গেইটের উপর দিকে বড় অক্ষরে লেখা নুহাশ পল্লী। আগে কখনো আসিনি তাই ভিতরে প্রবেশ করতে হলে কী করতে হবে জানি না। আশে পাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বিশাল বড় গেইটের সাথে সংযুক্ত ছোট দরজাটিতে ধাক্কা দিলাম। দরজা খুলে গেলো। ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখলাম। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সাহস করে ভিতরে ঢুকে গেলাম। এক নজর দিলাম সামনের দিকে এদিক ওদিক তাকালাম। বিশাল সীমানা। এই সেই নুহাশ পল্লী যেখানে হুমায়ুন আহমেদের সব নাটক সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে। টিভির পর্দায় দেখা দৃশ্য গুলো আমাদের চোখের সামনে।
ভিতরে প্রবেশ করে গেইটের হাতের ডান দিকে দেখতে পেলাম একটি ভাস্কর্য মা ও ছেলে তার পাশে একটি সুইমিং পুল। পাশেই ক;টি ঘর সেখানে হুমায়ুন স্যার নিরিবিলি লেখা লেখি করতেন। আরেকটু সামনের দিকে গিয়ে দেখলাম দাবা খেলার ঘর। এই দাবা খেলার ঘরে অনেক গুলো নাটক সিনেমার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। নানা রকমের ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো নুহাশ পল্লী। আরেকটু সামনে গিয়ে একটা দোলনা দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ দোলনায় দোল খেলাম। কতদিন দোলনায় দোল খাইনা। আরেকটু সামনেই সবার পরিচিত বাড়ি বৃষ্টি বিলাস। এই বৃষ্টি বিলাস বাড়ির বারান্দায় বসে নাকি হুমায়ুন আহমেদ বৃষ্টি উপভোগ করতেন। বাড়িটিতে উপরে চাল দেয়া হয়েছে যেন বৃষ্টির শব্দ শোনা যায়। নুহাশ পল্লীর ভিতরে একটি মাঠ আছে। মাঠের এক জায়গায় লিচু গাছের উপর নির্মান করা হয়েছে বাচ্চাদের খেলার ঘর। রাশেদ উদ্যান ঔষধি বাগানের গিয়ে দেখতে পেলাম নানা রকমের ঔষুধি গাছ। যেই গাছ গুলি হুমায়ুন আহমেদ নিজে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। ঔষুধি বাগানে দেখতে পেলাম হুমায়ুন আহমেদের একটি ভাস্কর্য। এছাড়া মৎস্য কন্যার চমৎকার ভাস্কর্যের সামনে দৃষ্টিরত ভুত বিলাস। অন্ধকার হয়েগিয়েছে প্রায়। আলোর যেন স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। আরেকটু সময় থাকলে খুব ভালো হতো। দ্রুত এদিক থেকে ওদিক শুধূ ছুটে চলছি। মান মাত্র দেখা দেখছি। সিমেন্ট বালির তৈরী ডায়নোসরের ভাস্কর্য। শেষ দিকে দিঘি লীলাবতী নামে একটি দিঘি। দিঘি লিলাবতিতে শাওন এর একটি গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল যে গানটি এই মুহুর্তে খুব মনে পড়ছে `আমার যমুনার জ্বল দেখতে কালো`...........। দিঘি লিলাবতির মাঝে নারকেল দ্বীপ যাওয়ার জন্য কাঠের সেতু। মৃত মেয়ে লীলাবতিকে স্মরণে হুমায়ুন অহমের দিঘির নাম দিয়েছিলেন দিঘি লীলাবতী। পুরো নুহাশ পল্লী জুড়ে নানা রকমের গাছ গাছালি। হুমায়ুন আহমেদ নাকি নিজ হাতে রোপন করেছিলেন গাছ গুলো। খুব অল্প সময়ে অনেক কিছু দেখলাম। পুরো পুরি অন্ধকার হওয়ার আগেই বের হয়ে গেলাম। আরেকদিন দীর্ঘ সময় নিয়ে ঘুরে দেখবো সেই ইচ্ছা নিয়ে এবারের জন্য বিদায়।
বনভোজনে আশা হতো। এখন আর যাওয়া হয় না। শালবন আমার খুব ভালো লাগে। নুহাশ পল্লীর কাছা কাছি চলে এসেছি এদিকে সূর্যটাও ডুবে ডুবে ভাব। সূর্যের সাথে যেন প্রতিযোগিতা দিয়ে আমরা ছুটে চলছি। পাখিদের কিচির মিচির। তারা নীড়ে ফিরে আসছে। পথ শূন্য হয়ে যাচ্ছে মানুষ জনও সবাই নীড়ে ফেরায় ব্যস্ত। খুব সুন্দর একটা পরিবেশ।
আমরা নুহাশ পল্লীর গেইটের সামনে গিয়ে নামলাম। আশে পাশে শালবন। শালবনের ভিতর দিয়ে সামনের দিকে একটু হেঁটে গেলাম। গেইটের উপর দিকে বড় অক্ষরে লেখা নুহাশ পল্লী। আগে কখনো আসিনি তাই ভিতরে প্রবেশ করতে হলে কী করতে হবে জানি না। আশে পাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বিশাল বড় গেইটের সাথে সংযুক্ত ছোট দরজাটিতে ধাক্কা দিলাম। দরজা খুলে গেলো। ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখলাম। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সাহস করে ভিতরে ঢুকে গেলাম। এক নজর দিলাম সামনের দিকে এদিক ওদিক তাকালাম। বিশাল সীমানা। এই সেই নুহাশ পল্লী যেখানে হুমায়ুন আহমেদের সব নাটক সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে। টিভির পর্দায় দেখা দৃশ্য গুলো আমাদের চোখের সামনে।
ভিতরে প্রবেশ করে গেইটের হাতের ডান দিকে দেখতে পেলাম একটি ভাস্কর্য মা ও ছেলে তার পাশে একটি সুইমিং পুল। পাশেই ক;টি ঘর সেখানে হুমায়ুন স্যার নিরিবিলি লেখা লেখি করতেন। আরেকটু সামনের দিকে গিয়ে দেখলাম দাবা খেলার ঘর। এই দাবা খেলার ঘরে অনেক গুলো নাটক সিনেমার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। নানা রকমের ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো নুহাশ পল্লী। আরেকটু সামনে গিয়ে একটা দোলনা দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ দোলনায় দোল খেলাম। কতদিন দোলনায় দোল খাইনা। আরেকটু সামনেই সবার পরিচিত বাড়ি বৃষ্টি বিলাস। এই বৃষ্টি বিলাস বাড়ির বারান্দায় বসে নাকি হুমায়ুন আহমেদ বৃষ্টি উপভোগ করতেন। বাড়িটিতে উপরে চাল দেয়া হয়েছে যেন বৃষ্টির শব্দ শোনা যায়। নুহাশ পল্লীর ভিতরে একটি মাঠ আছে। মাঠের এক জায়গায় লিচু গাছের উপর নির্মান করা হয়েছে বাচ্চাদের খেলার ঘর। রাশেদ উদ্যান ঔষধি বাগানের গিয়ে দেখতে পেলাম নানা রকমের ঔষুধি গাছ। যেই গাছ গুলি হুমায়ুন আহমেদ নিজে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। ঔষুধি বাগানে দেখতে পেলাম হুমায়ুন আহমেদের একটি ভাস্কর্য। এছাড়া মৎস্য কন্যার চমৎকার ভাস্কর্যের সামনে দৃষ্টিরত ভুত বিলাস। অন্ধকার হয়েগিয়েছে প্রায়। আলোর যেন স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। আরেকটু সময় থাকলে খুব ভালো হতো। দ্রুত এদিক থেকে ওদিক শুধূ ছুটে চলছি। মান মাত্র দেখা দেখছি। সিমেন্ট বালির তৈরী ডায়নোসরের ভাস্কর্য। শেষ দিকে দিঘি লীলাবতী নামে একটি দিঘি। দিঘি লিলাবতিতে শাওন এর একটি গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল যে গানটি এই মুহুর্তে খুব মনে পড়ছে `আমার যমুনার জ্বল দেখতে কালো`...........। দিঘি লিলাবতির মাঝে নারকেল দ্বীপ যাওয়ার জন্য কাঠের সেতু। মৃত মেয়ে লীলাবতিকে স্মরণে হুমায়ুন অহমের দিঘির নাম দিয়েছিলেন দিঘি লীলাবতী। পুরো নুহাশ পল্লী জুড়ে নানা রকমের গাছ গাছালি। হুমায়ুন আহমেদ নাকি নিজ হাতে রোপন করেছিলেন গাছ গুলো। খুব অল্প সময়ে অনেক কিছু দেখলাম। পুরো পুরি অন্ধকার হওয়ার আগেই বের হয়ে গেলাম। আরেকদিন দীর্ঘ সময় নিয়ে ঘুরে দেখবো সেই ইচ্ছা নিয়ে এবারের জন্য বিদায়।

No comments:
Post a Comment