Friday, May 29, 2015

তেল উত্তোলনে বিদেশী হস্তক্ষেপ নয়

  • রফিকুল ইসলাম সাগর
পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, পেট্রোবাংলার অধীন তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি (বাপেক্স) পরিচালিত ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে সিলেটের হরিপুর ও কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র দুটিতে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তথ্য মতে, ক্ষেত্র দুটি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করা যাবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী আড়াই বছরের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এই সংবাদ আমাদের দেশের জন্য খুবই আনন্দের। জ্বালানি তেলের জন্য সরকারকে যে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় তা থেকে আপাতত মুক্তি পাওয়া যাবে। পত্রিকার খবরে আরও জানতে পেরেছি, ভূগর্ভস্থ মাটির স্তর বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, অচিরেই এ ধরনের আরও তেলক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা যদি সত্য হয় তাহলে আশা করা যায়, ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে আমাদের আর তেল আমদানি করতে হবে না। পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের এই কৃতিত্বে দেশবাসী গর্বিত। 
আমরা জানতে পেরেছি, ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে পুরো তেল ক্ষেত্রের আকার-আয়তন, তেলের মোট পরিমাণ ও উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়েছে, তা আগে কখনো করা হয়নি। তাই বিজ্ঞানীরা একে নতুন আবিষ্কার হিসেবেই গণ্য করছেন। বাপেক্স ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রও আবিষ্কার করেছে। এটি বাংলাদেশের অনেক বড় সাফল্য। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বলতে চাই, সিলেট থেকে তেল উত্তোলন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে হোক। এখানে কোন রকমের বিদেশী হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি যাতে কাজ না করে সেদিকে সবার নজর দিতে হবে। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে তেল উত্তোলন করতে পারলে আশা করা যায়, দেশের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে তেল কিনতে পারবে। এর ফলে শুধু পরিবহন ব্যয় নয়, মানুষের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ও হ্রাস পাবে। এর ফলে স্বস্তির সুবাতাস বইবে নাগরিকদের মনে। কাজেই তেল উত্তোলনের কাজটি অবশ্যই সঠিকভাবে করতে হবে। এমন যেন না হয় তেল আমরা পেলাম ঠিকই কিন্তু তার সুফল ভোগ করল বিদেশীরা। 

No comments:

Post a Comment