- রফিকুল ইসলাম সাগর
থাপড়াইতে থাপড়াইতে গাল লাল কইরা ফালামু
একটি নদীতে গোসল করার সময় নায়ক নাইকাকে প্রথম দেখে। বিপরীত পাশের আরেকটি পাহাড় থেকে সিনেমার ভিলেন সেই একই দৃশ্য দেখে নাইকার প্রেমে পড়ে যায়। ভিলেন তার চাল্লিদের পাঠায় নাইকাকে তুলে আনতে। চাল্লিরা নাইকাকে জোর করে তুলে আনতে গেলে নায়ক বাধা দেয়। মারামারি,হাতাহাতি হয়। নায়কের মার খেয়ে ভিলেনের চাল্লিরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নায়ক বলল তোদের বসকে বলিস এর পর যদি আমার সামনে সে আসে তাহলে থাপড়াইতে থাপড়াইতে গাল লাল কইরা ফালামু। সেই ঘটনার পর নায়ক নাইকার প্রেম হয় এভাবেই এগোতে থাকে সিনেমার কাহিনী।
জোর যার দেশ তার
সিনেমার নায়ক ছোট বেলায় একজন পকেটমার থাকে। বহুবার হাতে নাতে ধরা খেয়ে পাবলিকের গণধোলাই খায়। মাঝে আন্দোলন কর্মসূচি,হরতাল সহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অতিরিক্ত টাকা আয় করে। একদিন হরতালে সে সাত জনকে হত্যা করে,সেই দৃশ্য সব টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়। টিভিতে দেখানোর পর সব নেতাদের নজরে আসে সে। তাকে সন্ধান করতে লোক পাঠানো হয়। নায়ক একটি রিক্সার গ্যারেজে বসে মাদক সেবন করিতেছিলো। সেখান থেকে নায়ককে নিয়ে আসা হয় নেতার সামনে। নেতা তাকে পলিথিন ব্যাগ ভর্তি টাকা দিয়ে বলল আজ থেকে তুমি আমার দলের লোক। আমার বিরোধী দলের কেউ উল্টা-পাল্টা করলে তাদের বুঝাইয়া দিবি জোর যার দেশ তার, এভাবেই চলতে থাকে কাহিনী।
ধর মার কাট
মহল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসীর টিন চুরিতে প্রতিবাদ করায় খুন হয় নায়কের বাবা। ছোট নায়ক তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাদে। নায়কের মা নায়ককে বলে তুই বড় হয়ে এইসব চোরদের নিজ হাতে শাস্তি দিবে। তারা ঢাকা আসে। রেল লাইন দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে বড় হয়ে যায় নায়ক। একদিন টিন চোর সন্ত্রাসীর ভাই নাইকাকে দেখে টিচ করে। নাইকার পক্ষ হয়ে নায়ক ঝাপিয়ে পড়ে। মারামারি হয়। নাইকা নায়কের প্রেমে পড়ে। নায়ক তার বন্ধুদের নিয়ে একটা ক্লাব বানায় নাম ধর মার কাট। এই ক্লাবের সদস্যদের কাজ টিন চোরদের পেলেই ধরবে মারবে কাটবে। তার পর কী হবে দেখুন সিনেমা হলের পর্দায়।
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ দৈনিক ইত্তেফাকের ফান ম্যাগাজিন ঠাট্টায় প্রকাশিত

No comments:
Post a Comment