:: নববর্ষের ঐতিহ্য ::
- রফিকুল ইসলাম সাগর
ষাটের দশক থেকে রমনার বটমূল আমাদের সংস্কৃতি এবং সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক স্থান। বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয় এই রমনার বটমূলকে ঘিরেই। বর্ষবরণ উৎসবে রমনার পুরো এলাকাজুড়ে জমে ওঠে প্রাণের মেলা।
মোঘল আমল থেকেই এটি একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। রমনার নামকরণ মোঘলদেরই দেয়া। রমনা শব্দের অর্থ সবুজ ঘাসে ঢাকা চত্বর। কোম্প্যানি আমলে, ১৮৭০ সালে রমনা পার্ক এলাকাটি ছিলো একটি জঙ্গল। আর ইংরেজ আমলে, ১৯০১ সালে রমনা পুনরুদ্ধারে প্রথম হাত দিয়েছিলেন ঢাকার মেজিস্ট্রেট চার্লস গ্যজ। ১৮২৫ সালে তিনি জেলের কয়েদিদের দিয়ে রমনার জঙ্গল পরিষ্কার করিয়েছিলেন।
চার্লস গ্যজ চলে যাওয়ার পর, রমনার বটমূল আবারো জঙ্গল হয়ে উঠেছিলো। পরবর্তী কালে, নবাবি আমলে, নবাব আহসান উল্লাহ এখানে একটি চিড়িয়াখানা করেছিলেন।
মূলত রমনা পার্কের গোড়াপত্তন হয় ১৯০৮ সালে। কারো কারো মতে ১৯০৯ সালে। সে সময়ে লন্ডনের কিউ. ই. গার্ডেনের অন্যতম কর্মী আর এল প্রাউডলকের তত্ত্বাবধানে, পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হয়। বলা যায় তিনিই রমনা পার্কের পরিকল্পক। তাঁরই তত্ত্বাবধানে এখানে রোপন কড়া হয়েছিলো একটি অসক্ত গাছ। রমনার বটমূলে যে গাছটিকে আজও আমরা বটগাছ বলে জানি; আসলে সেটি বটগাছ নয়, অসক্ত গাছ।
১৯৬৭ সালে ছায়ানটের উদ্যোগে এখানে প্রথম বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছায়ানটের সেচ্ছাসেবীরা এ জায়গাটি পরিচ্ছন্ন করে। বটগাছ তথা অসক্ত গাছটির নিচে সেই গানের আসর বসে। তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন। []
::
মোঘল আমল থেকেই এটি একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। রমনার নামকরণ মোঘলদেরই দেয়া। রমনা শব্দের অর্থ সবুজ ঘাসে ঢাকা চত্বর। কোম্প্যানি আমলে, ১৮৭০ সালে রমনা পার্ক এলাকাটি ছিলো একটি জঙ্গল। আর ইংরেজ আমলে, ১৯০১ সালে রমনা পুনরুদ্ধারে প্রথম হাত দিয়েছিলেন ঢাকার মেজিস্ট্রেট চার্লস গ্যজ। ১৮২৫ সালে তিনি জেলের কয়েদিদের দিয়ে রমনার জঙ্গল পরিষ্কার করিয়েছিলেন।
চার্লস গ্যজ চলে যাওয়ার পর, রমনার বটমূল আবারো জঙ্গল হয়ে উঠেছিলো। পরবর্তী কালে, নবাবি আমলে, নবাব আহসান উল্লাহ এখানে একটি চিড়িয়াখানা করেছিলেন।
মূলত রমনা পার্কের গোড়াপত্তন হয় ১৯০৮ সালে। কারো কারো মতে ১৯০৯ সালে। সে সময়ে লন্ডনের কিউ. ই. গার্ডেনের অন্যতম কর্মী আর এল প্রাউডলকের তত্ত্বাবধানে, পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হয়। বলা যায় তিনিই রমনা পার্কের পরিকল্পক। তাঁরই তত্ত্বাবধানে এখানে রোপন কড়া হয়েছিলো একটি অসক্ত গাছ। রমনার বটমূলে যে গাছটিকে আজও আমরা বটগাছ বলে জানি; আসলে সেটি বটগাছ নয়, অসক্ত গাছ।
১৯৬৭ সালে ছায়ানটের উদ্যোগে এখানে প্রথম বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছায়ানটের সেচ্ছাসেবীরা এ জায়গাটি পরিচ্ছন্ন করে। বটগাছ তথা অসক্ত গাছটির নিচে সেই গানের আসর বসে। তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন। []
::

No comments:
Post a Comment