- রফিকুল ইসলাম সাগর
আমাদের মিডিয়াগুলো ভারতীয় নাটক-সিনেমার আকর্ষণীয় খবর প্রকাশ করে মানুষের দেখার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয়। ভারতীয় সেলিব্রেটিদের নিয়ে না ভেবে আমাদের সেলিব্রেটিদের নিয়ে ভাবা উচিত বলে মনে করি। ভারতীয় চ্যানেলগুলো যেভাবে আমাদের আসক্ত করেছে, সেগুলো ছাড়া এখন আর চলেও না। এখন যদি আমাদের দেশে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করা হয়, তাহলে ডিশের গ্রাহক সংখ্যা কমে যাবে নিশ্চিত। এমন হলে ডিশ ব্যবসায়ীদের করুণ অবস্থা দেখা দেবে। ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করা মানে এ সমস্যার সমাধান নয়। সম্প্রচার বন্ধ করে দর্শকদের ভারতীয় অনুষ্ঠান দেখা থেকে বিরত রাখা যাবে বলে মনে হয় না। চ্যানেল যদি বন্ধ করা হয় তাহলে এখন ইন্টারনেটের যুগে দর্শকরা বিকল্প পথ ঠিকই বের করে নেবেন, ক্ষতির মুখে পড়বেন ডিশ ব্যবসায়ীরা।
আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো বেশি সময় সংবাদ, বিজ্ঞাপন ও টকশোর দখলে থাকে। এটিও দর্শক ধরে না রাখতে পারার একটি কারণ। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। দর্শকদের চাওয়া-পাওয়ার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের টিভি চ্যানেলগুলো দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করলে রিমোট চেপে ভারতীয় চ্যানেলে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘন ঘন সংবাদ, বিজ্ঞাপন বেশিরভাগ দর্শকের পছন্দ নয়।
আমাদের নাটকের মান অনেক ভালো। তবে সিনেমার মান নিয়ে দর্শকরা সন্তুষ্ট নন। বহু বছর আগের সেই সাদা-কালো সিনেমাগুলোর মান আর এখনকার সিনেমার মানে কত পার্থক্য। তখনকার অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের অভিনয়, সেই সিনেমাগুলোর গান, নাচ এখনও হৃদয়ে নাড়া দেয়। এখন ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে না তা বলব না। দেখার মতো ভালো সিনেমাও নির্মাণ হচ্ছে। তবে ভালো সিনেমার সংখ্যা কম হওয়ায় দর্শক ধরে রাখা যাচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে অল্প দক্ষ, অজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক দ্বারা সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। অল্প কজন বাদে প্রতিভাবান দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকরা সুযোগ পাচ্ছে না ভালো কিছু করে দেখানোর।
আমরা এমন একটা দেশের নাগরিক, যে দেশে প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। যার ক্ষমতা আছে, অর্থ আছে সে-ই নায়ক, গায়ক, পরিচালক সব। দেশে কিছু কিছু পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক আছে, যাদের স্যালুট করা যায়। তারা আসলেই সিনেমা নিয়ে ভাবেন, আমাদের সিনেমায় বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টায় আছেন, আমাদের চলচ্চিত্র সব শ্রেণীর মানুষের কাছে টিকিয়ে রেখেছেন এই অল্প কিছু মানুষ।
সরকারি অনুদানে যে সিনেমা নির্মাণ হয় তার সংখ্যা ও অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। বিনোদনের জন্য না হোক, সহযোগিতা এবং নির্মাতাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য আমাদের হলে গিয়ে সিনেমা দেখা উচিত। আমাদের চলচ্চিত্র বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।
আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো বেশি সময় সংবাদ, বিজ্ঞাপন ও টকশোর দখলে থাকে। এটিও দর্শক ধরে না রাখতে পারার একটি কারণ। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। দর্শকদের চাওয়া-পাওয়ার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের টিভি চ্যানেলগুলো দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করলে রিমোট চেপে ভারতীয় চ্যানেলে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘন ঘন সংবাদ, বিজ্ঞাপন বেশিরভাগ দর্শকের পছন্দ নয়।
আমাদের নাটকের মান অনেক ভালো। তবে সিনেমার মান নিয়ে দর্শকরা সন্তুষ্ট নন। বহু বছর আগের সেই সাদা-কালো সিনেমাগুলোর মান আর এখনকার সিনেমার মানে কত পার্থক্য। তখনকার অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের অভিনয়, সেই সিনেমাগুলোর গান, নাচ এখনও হৃদয়ে নাড়া দেয়। এখন ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে না তা বলব না। দেখার মতো ভালো সিনেমাও নির্মাণ হচ্ছে। তবে ভালো সিনেমার সংখ্যা কম হওয়ায় দর্শক ধরে রাখা যাচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে অল্প দক্ষ, অজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক দ্বারা সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। অল্প কজন বাদে প্রতিভাবান দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকরা সুযোগ পাচ্ছে না ভালো কিছু করে দেখানোর।
আমরা এমন একটা দেশের নাগরিক, যে দেশে প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। যার ক্ষমতা আছে, অর্থ আছে সে-ই নায়ক, গায়ক, পরিচালক সব। দেশে কিছু কিছু পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক আছে, যাদের স্যালুট করা যায়। তারা আসলেই সিনেমা নিয়ে ভাবেন, আমাদের সিনেমায় বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টায় আছেন, আমাদের চলচ্চিত্র সব শ্রেণীর মানুষের কাছে টিকিয়ে রেখেছেন এই অল্প কিছু মানুষ।
সরকারি অনুদানে যে সিনেমা নির্মাণ হয় তার সংখ্যা ও অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। বিনোদনের জন্য না হোক, সহযোগিতা এবং নির্মাতাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য আমাদের হলে গিয়ে সিনেমা দেখা উচিত। আমাদের চলচ্চিত্র বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।

No comments:
Post a Comment