Friday, May 29, 2015

ঢাকা মেডিক্যালে এক রাত

  • রফিকুল ইসলাম সাগর 
ছবি : সংগৃহীত 
আমার ছোট খালু তখন ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি। রাতে তাঁর সঙ্গে আমার থাকতে হবে। তাই রাত ১২টায় ঢাকা মেডিক্যালের ইমার্জেন্সিতে যাই এবং ভেতরে প্রবেশ করার পর দেখি প্রতিটি ওয়ার্ড ও বেডে যত রোগী তার চেয়ে বেশি রোগী ফ্লোরে শুয়ে আছে। তিন তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে যাই। দেখি খালু সিট পাননি। বারান্দার ফ্লোরে শুয়ে আছেন। আমাকে সকাল পর্যন্ত থাকতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর রোগী আসছে ভর্তির হতে। নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়রা তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে টাকা আদায় করে। রাত ২টায় এক রোগী মারা যান, কিন্তু তার পরিবারের লোকজনকে লাশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। ওয়ার্ডবয় খালেক বলেন, এটা পুলিশ কেস। সকাল ৮টায় পুলিশ আসার পর লাশ নিতে হবে। ওয়ার্ডবয়কে এক ঘণ্টা পর ডেড সার্টিফিকেট করে দেওয়ার জন্য কিছু গ্রহণ করতে দেখলাম। রাত সাড়ে ৩টায় চিৎকার শুনে নিচে গিয়ে দেখি, চার আনসার সদস্য দুই ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনসেট চুরির অপরাধে পেটাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর দেখি ওই মোবাইল চোরদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জানতে পারলাম, তারা আনসারদের ম্যানেজ করে নিয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোর এসব অনিয়ম দেখার যেন কেউ নেই। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বললেন, 'ভাই, কী বলবেন, সব সরকারি হাসপাতালের একই অবস্থা।' প্রশ্ন হলো, এ অবস্থার পরিবর্তন কি কখনো হবে না?


No comments:

Post a Comment