রফিকুল ইসলাম সাগর
এলাকায় একাধিক সুমন থাকায় প্রতিটি সুমনের নামের একটা টাইটেল আছে। আমার বন্ধু সুমন তার টাইটেল একটেল। অনেক আগে সুমন একটেল (বর্তমানে রবি) মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি করত। তখন সুমনের নামের আগে 'একটেল সুমন' টাইটেল বসে পড়ল। একদিন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হটাত এক বাইদানি এসে বন্ধু সুমনকে সাপ দেখিয়ে বলল টাকা দে, তাহলে তুই সুন্দর একটা বউ পাবি। সুমন বলল, আমার বউ দরকার নেই। টাকা নেই অন্য কারো কাছে যাও। বাইদানি সুমনকে বলল, দেখ তোর রাহর দশা চলছে। সামনে তোর আরো বিপদ আছে। টাকা দে মঙ্গল হবে, না হলে বিপদ নিশ্চয়ই আসবে। সুমন বলল, রাহর দশা চললে চলুক, এখান থেকে যাও, টাকা নেই। সেদিন বিকেলে সুমনের দুই হাজার টাকা হারিয়ে গেল। সুমন বলল, দোস্ত ওই বাইদানির কথাই ঠিক। আমার মনে হয় সত্যি সত্যি রাহর দশা চলতেছে।
এই কথা ছড়িয়ে পড়ল গোটা মহল্লায়। সুমনের নতুন নাম হলো রাহর দশা। আমরা সবাই সুমনকে রাহর দশা বলে ডাকতাম। বন্ধু সুমন কয়েক দিন আগে বিয়ে করেছে। সুমন আমাদের বন্ধু মহলের আড্ডা থেকে প্রতিদিন আগে আগে বাসায় চলে যায়। সব কিছুতেই তার এখন পরিবর্তন ও ভদ্র ভদ্র ভাব। প্রশ্ন করলাম- কী রে তুই কি তোর বউকে ভয় পাস? সুমন বলল, বিয়া করো তার পড়ে বুঝবা। বিয়ের পরে সব বেটাই তার বউরে ভয় পায়।
সুমনের এ রকম উত্তরে আমরা সব বন্ধু হেসে দিলাম। সুমনের নতুন নাম রাখলাম ভীতু সুমন। বন্ধুরা এখন সুমনকে ভীতু সুমন বলেই ডাকি।
২০১২ সালে দৈনিক নয়া দিগন্তের ফান ম্যাগাজিন থেরাপিতে প্রকাশিত।

No comments:
Post a Comment