Tuesday, June 30, 2015

একটি ছবির গল্প

বাস্তবে টাইটানিক জাহাজ দেখার গল্প 

১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউডের অসাধারণ সিনেমা 'টাইটানিক' এর কথা তো সবার মনে আছে? সিনেমাটির মূল কাহিনী একটি জাহাজকে নিয়ে। যে জাহাজটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ। জাহাজটি নির্মাণকারীরা দাবি করেছিলেন এটি কখনো ডুববে না। কিন্তু জাহাজটি প্রথমবার যখন সমুদ্রে ভেসেছিল সেবারই ডুবে গিয়েছিল। তা আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৩ শ’ বছর পূর্বের কথা।  
টাইটানিক সিনেমার শ্যুটিং করা হয়েছে রাশিয়ার মির অভিযানের সহযোগী জাহাজ Akademik Mstislav Keldysh-এ, আর প্রাচীন টাইটানিকের শ্যুটিংয়ের জন্য পুরনো টাইটানিক নতুন করে তৈরি করা হয়। বাহা ক্যালিফোর্নিয়ার Playas de Rosarito-তে টাইটানিক পুনর্নির্মাণ করা হয়। এছাড়া টাইটানিকডুবির দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য ক্যামেরন স্কেল মডেলিং ও কম্পিউটার এনিমেশনের সাহায্য নেয়া হয়। 

এতক্ষণ বললাম, টাইটানিক সিনেমা ও সিনেমায় দেখানো জাহাজটির কথা। এবার বলছি, বাস্তবে আমার দেখা একটি টাইটানিকের মতো জাহাজ দেখার গল্প। 
গিয়েছিলাম মালয়েশিয়ার লাংকাউই দ্বীপে। সঙ্গে ছিল চার বন্ধু। এক দুপুরের কথা। আমাদের সাথে ছিল ভাড়া করা মোটরসাইকেল। পান্তাই চেনাং নামক সমুদ্র বিচে গেলাম। তার একটু পরেই চোখের সামনে দিয়ে সমুদ্রে ভেসে যেতে দেখি বিশাল বড় একটি যাত্রীবাহী জাহাজ। তাকিয়ে থাকি, যেতে যেতে হটাত জাহাজটি দৃষ্টি থেকে হারিয়ে যায়। আর তখনই আমাদের সবার মাথায় ভূত চেপে বসে জাহাজটিকে আরেক নজর দেখবার জন্য। মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটতে থাকি সমুদ্রের পাশ ঘেষে যাওয়া রাস্তায়। খুজতে খুজতে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাই জাহাজটির সন্ধান। কাস্টমস গেইটের সামনে জাহাজটি থেমেছে। দাড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি জাহাজটির দিকে। এতো বড় যাত্রীবাহী জাহাজ বাস্তবে এর আগে কোনদিন দেখিনি। তাই অবাক না হয়ে পারিনি। গুনলাম, জাহাজটি সাত তলা। জানতে পারি এটি ফাইভ ষ্টার মানের জাহাজ। সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া যাত্রীবাহী জাহাজ। এর ভেতরে সিনেমা হল, রেস্টুরেন্ট, কেসিনো, বার, ডিসকো, সুইমিং পুলসহ বিনোদনের সব আয়োজন আছে।  

লেখা ও ছবি : রফিকুল ইসলাম সাগর 

No comments:

Post a Comment